শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার গাইডলাইনে যা আছে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার গাইডলাইনে যা আছে

স্বদেশ ডেস্ক: নতুন স্বাভাবিক সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলার বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর সাথে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

এ গাইডলাইনে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তিন ফুট দূরত্বে ক্লাসরুমের বেঞ্চগুলোকে স্থাপন করতে বলা হয়েছে।

বেঞ্চের দৈর্ঘ্য পাঁচ ফুটের কম হলে প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসতে পারবে। বেঞ্চের দৈর্ঘ্য পাঁচ থেকে সাত ফুট হলে প্রতি বেঞ্চে দুজন করে শিক্ষার্থী বসতে পারবে। যদি বেঞ্চের দৈর্ঘ্য পাঁচ ফুট বা তার বেশি হয়, তবে প্রতিটি বেঞ্চে দুজন করে ছয়টি বেঞ্চে ১২ জন শিক্ষার্থী বসতে পারবে।

এছাড়া স্কুলে ঢোকার আগেই থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করার কথাও বলা হয়েছে। খোলার বাজেট তৈরিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে ওই গাইডলাইনে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার জন্য কয়েকটি ধাপের কথা বলা হয়েছে।

তা হলো- নিরাপদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিরাপদে চালু করা ও শিক্ষা কার্যক্রম চলাকালে করোনার বিস্তাররোধে পদক্ষেপ নেওয়া।

মাউশির গাইডলাইনে করোনাভাইরাস রোধে প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সময় সবার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

একইসাথে সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, শিক্ষার্থীরা যাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলাফেরা করতে পারে এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থারও পরিকল্পনা নিতে বলা হয়েছে। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে তা থেকে মুক্ত করার জন্য নিরাপদ ও আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রথম এক বা দুই সপ্তাহ পাঠক্রমভিত্তিক শিখনের ওপর গুরুত্ব না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মনোসামাজিক সহায়তা এবং মানসিক ও শারীরিক কার্যক্রমের মধ্যে খেলাধুলা, মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, গাছ লাগানো ও পরিচর্যা, সংগীত চর্চা, ছবি আঁকা, সামাজিক সেবামূলক কাজ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর প্রথম দুই মাসের মধ্যে এমন কোনো আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা বা মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা যাবে না, যা শিক্ষার্থীর ওপর চাপ তৈরি করতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। পরবর্তীতে এ ছুটি কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। এছাড়াও করোনার কারণে স্কুল কলেজে পাবলিক পরীক্ষায়ও সরকার কিছু পরিবর্তন আনে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877